জুলাই ২৮, ২০২১
কলারোয়ায় অসুস্থ্য স্বামীকে উদ্ধারের দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার কলারোয়ার লোহাকুড়ায় করোনা আক্রান্ত গ্রাম ডাক্তারের সম্পত্তি ও নগদ টাকা আত্মসাথের উদ্দেশ্যে ভাই, বোন, ভগ্নিপতি ও ভাইপো কর্তৃক জোর পূর্বক বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার লোহাকুড়া গ্রামের ডাঃ আব্দুল মুজিদ এর স্ত্রী মোছাঃ সুমি বেগম এই অভিযোগ করেন। সম্প্রতি আমার স্বামী করোনায় আক্রান্ত হলে তার ফুসফুস প্রায় ৬০ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাকে সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে ভর্তি করে নিজের জীবনের মায়া না করে সেবা যতœ করে আমি তাকে সুস্থ্য করে তোলার চেষ্টা করি। এসময় তার ফুসফুস ১৫ শতাংশ রিকোভারি হয়। এদিকে আমার স্বামীর মুমূর্ষ অবস্থার খবর পেয়ে তার ভাই বাবুর আলীর ছেলে মুকুল, আজিতের ছেলে রুহুল আমীন, বোন জাহানারা ও ঝেনি এবং ভগ্নিপতি মোস্ত স্বামীর সম্পত্তি এবং নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে। একপর্যায়ে উল্লেখিতরা আমার কাছ থেকে স্বামীকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে মিথ্যেচার করে স্বামীকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। সুমি বেগম অভিযোগ করে বলেন, স্বামীকে ঢাকা থেকে উন্নত চিকিৎসা করিয়ে আনার জন্য উল্লেখিতরা তার (স্বামী) কাছ থেকে একটি চেকে ২৮লক্ষ টাকা লিখে স্বাক্ষর করে নেয়। কিন্তু স্বামীকে ঢাকায় না নিয়ে তারা সমুদয় টাকা আত্মসাত করে। এসময় তারা আমার সাথে বিড়াল-কুকুরের মত ব্যবহার করতে থাকে। ননদ জাহানারা ও তার স্বামী মোস্ত তাদের বাড়ির একটি রুমে আমাকে আটকে রাখে। পরে আমাকে তালাক করিয়ে নেওয়ার জন্য মারাত্মক অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে কাজী অফিসে গেলে অসুস্থ্য হওয়ায় তিনি তালাক করাতে রাজি হননি। পরবর্তীতে লাঙ্গলঝাড়া এলাকার সবুর মাওলানাকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আনুমানিক গত ৬ জুলাই তালাকনামা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে মেয়ে দুটিকে কেড়ে নিয়ে এক কাপড়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধিকে দিয়ে আমাকে ডেকে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী এখনো মারাত্মক অসুস্থ্য। তার এই অসুস্থ্যতার সুযোগ নিয়ে স্বামীর ভাইপো মুকুল ও রুহুল আমীন, বোন জাহানারা ও ঝেনি এবং ভগ্নিপতি মোস্ত কৌশলে তাকে হত্যা করে তার সমুদয় সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। যে কারণে তাকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। এমনকি ফোনেও কারো সাথে যোগাযোগ বা কথা বলতে দিচ্ছে না। আমার স্বামীকে এখনই ওই ঘর থেকে মুক্ত করা না গেলে সে ধুকে ধুকে মারা যাবে। 8,606,566 total views, 14,445 views today |
|
|
|